প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করে বর্তমান সরকার 214 টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল প্রধান শিক্ষকের পদ ২য় শ্রেণিতে উন্নীতকরণসহ সহকারি শিক্ষকদের বেতন স্কেল এক ধাপ উন্নীত করে। শিক্ষক: শিক্ষার্থী এবং শিক্ষার্থী:শ্রেণিকক্ষের অনুপাত হ্রাসকরণের লক্ষ্যে এ বিভাগে নতুন শিক্ষকের পদসৃষ্টিসহ 189 জন শিক্ষকের নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। শতভাগ ভর্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু করা হয়েছে । বাস্তব চাহিদার আলোকে প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১টি করে মোট 189 টি দপ্তরি কাম প্রহরী পদ সৃজন করা হয়েছে। বিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে নলকূপ স্থাপনসহ 32টি ওয়াশব্লক নির্মাণ করা হয়েছে। বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সকল শিক্ষার্থীর মধ্যে ২০১7 সালে বিনামূল্যে ১ কোটি ৪১ লক্ষ বই বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া, ঝরেপড়া রোধসহ প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনের লক্ষ্যে দরিদ্র পরিবারের শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় ১৬ লক্ষ ৬৪ হাজার শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি এবং ৮ লক্ষ ৪১ হাজার শিক্ষার্থীকে স্কুল ফিডিং এর আওতায় আনা হয়েছে। 406টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। 20টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিখবে প্রতিটি শিশু (ইসিএল) এর কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। তাছাড়া, 406টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য মিড-ডে মিল চালু করা হয়েছে। বিদ্যালয় ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে 405টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যান (SLIP) বাস্তবায়নের জন্য বিদ্যালয় প্রতি বাৎসরিক ৪০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ প্রদান করা হচ্ছে। ২০০৯ সাল থেকে নিয়মিতভাবে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণ করা হচ্ছে। ২০১২ সাল হতে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্ণামেন্ট পরিচালিত হয়ে আসছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস